বিগত দুই বছরে বলিউডের যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে তা গত ৭০ বছরেও এমন বাজে দিন কেউ দেখেনি। বড় বাজেট, ছবিতে একাধিক বড় তারকা, ব্যাপক প্রচারণা-কোনো টোটকাই কাজে লাগছে না। ব্যর্থতার মিছিলে নাম লিখিয়েছে ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘লাল সিং চাড্ডা’, ‘এইট্টিথ্রি’, ‘রানওয়ে থার্টিফোর’, ‘জার্সি’, ‘বচ্চন পান্ডে’, ‘শামসেরা’, ‘ধাকড়’, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘বাধাই দো’, ‘ঝুন্ড’, ‘হিরোপান্তি ২’, ‘গেহরাইয়া’, ‘অ্যাটাক’সহ আরও অনেক ছবি।
অভিনেতাদের মধ্যে শহীদ কাপুর, আমির খান, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, জন আব্রাহামের মতো বড় নামও ছবিগুলোকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ায় রুটিরুজিতে টান পড়ছে অভিনেতা, নির্মাতা থেকে শুরু করে বহু চলচ্চিত্রকর্মীর। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা আমির খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোভিডের পর বক্স অফিসের অবস্থা নাজুক হলেও ‘পুষ্পা’, ‘ভুল ভুলাইয়া ২’, ‘কাশ্মীর ফাইলস’ ও ‘আরআরআর’ ভালো ব্যবসা করেছে। দক্ষিণি ছবি হিন্দি বলয়ে যে দাপট দেখাচ্ছে, আমরা তা পারছি না।
আমার মনে হয়, ছবির কনটেন্ট ভালো হওয়া চাই। তবেই দর্শক দেখবেন। এ ছাড়া ছবি মুক্তির পর খুব তাড়াতাড়ি তা ওটিটিতে চলে আসছে। তাই দর্শক হলে যাচ্ছেন না। ভাবছেন, ঘরে বসে ওটিটিতেই ছবিটা দেখবেন।’এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অক্ষয় কুমারও। ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছবি চলছে না তার দোষ আমার, আমাদের। পরিবর্তন আনতে হবে। জানতে হবে দর্শক কী চান। তাদের রুচি অনুযায়ী ছবি বানাতে হবে। এ ব্যাপারে অন্য কাউকে দোষারোপ করতে চাই না।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।